Header Ads

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ ধূমপান মৃত্যু ঘটায়

অধিকাংশ ক্ষেত্রে সবাই ধূমপান মজা করার উদ্দেশ্যেই গ্রহণ করে কিন্তু পরবর্তীতে এতে আসক্ত হয়ে পড়ে। এমনকি ধূমপায়ীরা এটা বলে থাকে যে, তারা শুধু মজা করার জন্য ধূমপান করছে এবং চাইলে যেকোনো সময়ই ধূমপান ছেড়ে দিতে পারে।

কিন্তু তাদেরকে যদি ধূমপান থেকে কখনো বিরত রাখেন, তাহলে সেময় ধূমপান না করতে পারার উৎকন্ঠা দেখে আসক্তিটা ভালোভাবেই বোঝা যায়।

নিকোটিন অত্যন্ত আসক্তিকর মাদক এবং এটি ফুসফুসের বিভিন্ন রোগ এবং উচ্চরক্তচাপ সৃষ্টির জন্য পরিচিত।

সুতরাং আপনি যদি অনেক দিন থেকেই ধূমপান করে থাকেন, তাহলে সম্ভাবনা থাকে যে এটি আপনার শরীর শেষ করা শুরু করে দিয়েছে।

যা হোক, আপনার শরীর যদি পুনরুত্থিত করতে চান তাহলে অবিলম্বে শরীর বিনষ্ট রোধকারী খাবার আপনার গ্রহণ করা উচিত, যা আপনার শরীর থেকে নিকোটিন দূর করবে এবং ধূমপানের আসক্তি কমাতে সহায়তা করবে।

জেনে নিন, শরীরের ভেতর পরিস্কারকারী এমন কিছু খাবারের কথা:


  • পানি: নিকোটিনের অন্যতম একটি ক্ষতিকর প্রভাব হলো, শরীরে পানিশূন্যতা সৃষ্টি হয় এবং এর খারাপ প্রভাব শরীরে পড়তে থাকে। তাই প্রচুর পরিমানে পানি পানের মাধ্যমে শরীরের পানির ভারসাম্য নিশ্চিত করুন। এছাড়াও পানি শরীর থেকে টক্সিন দূর করে।

  •  দুধ: ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, যেসব ধূমপায়ীরা ধূমপানের আগে ১ গ্লাস দুধ খেয়েছিলেন, এরপর সিগারেটের স্বাদ তাদের আর ভালো লাগেনি। দুধ নিশ্চিতভাবে নিকোটিনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে আপনাকে সাহায্য করবে।

  • ড্রাই হার্বস: ড্রাই হার্বস ভিটামিন এ এবং বি সমৃদ্ধ। এসব ভিটামিন খুবই কার্যকরী শরীর থেকে নিকোটিনের প্রভাব কাটানোর জন্য।

  • কমলা: কমলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা শরীরে মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে অর্থাৎ শরীর সজীব রাখার রাসায়নিক উপাদান তৈরি করে। এছাড়াও মানসিক চাপ কমায়। ধূমপায়ীরা সাধারণত ভিটাবিন সি-এর অসম্পূর্ণতায় থাকে।

  • পালং শাক: পালং শাকে ফলিক এসিড এবং ভিটামিন রয়েছে, যা সিগারেটের স্বাদ অপছন্দ করতে সহায়তা করে। এছাড়াও পালং শাক স্বাস্থ্যকর সবজি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

  • ব্রকোলি: ব্রকোলিকে বলা হয় ভিটামিন বি৫ এবং ভিটামিন সি এর ভাণ্ডার। এসব ভিটামিন নিকোটিন থেকে ফুসফুস রক্ষায় অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে।

  • গাজরের জুস: নিকোটিন শরীরের ত্বক নষ্ট করার জন্যও দায়ী। গাজরের জুস ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। গাজরে এছাড়াও ভিটামিন এ, সি, কে এবং বি রয়েছে, যা শরীর থেকে নিকোটিন অপসারণে কার্যকরী হিসেবে প্রমাণিত।

  • বেরি: শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে ভালো কাজ করে বেরি ফল।

  • ডালিম: বেদানা বা ডালিম শরীরে রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে এবং রক্তকণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি করে।

  • কিউয়ি: ধূমপানের ফলে শরীর থেকে যেসব ভিটামিন চলে যায়, তা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক কিউয়ি ফল। এছাড়াও এর মধ্যে থাকা ভিটামিন এ, সি এবং ই সাহায্য করে শরীর থেকে নিকোটিন দূর করতে।
এ সংক্রান্ত আরো টিপস্ পেতে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার দিয়ে কানেক্টেট থাকুন।

No comments

Theme images by lobaaaato. Powered by Blogger.